Posts

ডানা ভাঙ্গা পাখির কথা ৮ তুমি নিজের মুখেই বললে যেদিন সবই তোমার অভিনয় সত্যি কোনো কিছু নয় আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে |.

ডানা ভাঙ্গা পাখির কথা ৮ তুমি নিজের মুখেই বললে যেদিন সবই তোমার অভিনয় সত্যি কোনো কিছু নয় আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে | ছেলের জন্য ব্যাট বল কিনে নিয়ে পৌঁছাতে একটু দেরী হয়ে গেল । আচ্ছা ঐ তো স্নিগ্ধা আর শৌনক বসে আছে l খুব কনফিউজ লাগছে এতদিন পরে আবার হঠাৎ কি ঝড় উঠবে আমাদের সম্পর্কে. সিগ্ধা তো সেই আগের মতোই রয়ে গেছে । ... মা ওই দেখো বাবা আসছে ....দেখেছি তুমি একটু চুপটি করে বসো ! .. সরি সিগ্ধা আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেল আসলে মলে গিয়ে আমার সোনা বাবার জন্য একটা গিফট কেনার ছিল । কেমন আছে আমার সোনা বাবা ? নটি ? ও বাবা আমার সোনা বাবার তো মুখ ফুলে গেছে দেখছি ? ওলে বাবা এবার আমি খুব ভয় পাচ্ছি !! ...নটি বাবা- - কেন সোনা? - তুমি কেন আসো না আমার কাছে?মা বলে তুমি আমাকে একদম ভালোবাসো না ! কথা শুনে থমকাকে যায় বিতান।ভেতরে ভেতরে রেগে যায় স্নিগ্ধার ওপর।স্নিগ্ধার চোখেমুখে অস্বস্তি। ... আমি তোকে কখন বললাম বাবা তোকে ভালোবাসে না । শৌনক চুপ করে যায় । ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সবটাই বুজতে পারে বিতান খুব খারাপ লাগে , এই একপেশে অন্ধ আইন, সমাজ, সিগ্ধার দাম...
ডানা ভাঙ্গা পাখির কথা  ৭ বিতান ও মেহেক তুমি আছো আমার মন খারাপের সকালে - মোর সময় ঠিক এগারোটা । বিতান এসে হাজির হয় অফিসে। সবাইকে গুড মর্নিং বলে ভেতরে ঢোকে ও। নিজের কেবিনে গিয়ে জল চেয়ে পাঠায়। আরো আগেই চলে আসতো অফিসে, কিন্তু স্নিগ্ধার ফোনটা আসার পরে সব কিরকম একটা ঘেঁটে গেলো। সারা রাস্তা শুধু স্নিগ্ধার ফোন, ওদের দুজনের কথা বার্তাই ওর মনের ভেতরে ঘুরছে। জল খাওয়ার পরে, মনটাকে কাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়ে আসে বিতান। প্রায় জনা কুড়ি কি পঁচিশজন ছেলে মেয়ে কাজ করে চলেছে বাইরের ফ্লোরে , সবাই কম্পিউটারের সামনে বসে কিছু না কিছু করছে। দুটো কনফারেন্স রুম, সেখানেও কয়েকজন কিছু প্রেসেন্টেশন দেখাচ্ছে কাউকে, সেটা নিয়ে ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে চলেছে এক নাগাড়ে। এক দিকের দেওয়ালে একটা বড়ো টিভি স্ক্রিন লাগানো, সেখানে কোনো কিছু ট্রেন্ড দেখানো হচ্ছে লাইন চার্টের মাধ্যমে , একজন কানে লাগানো হেডসেটের মাইক্রোফোনে কিছু বলছে, আর চার্ট চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে নিজের থেকে। অন্যদিকে দেওয়ালের মাঝে লাগানো পাঁচটা বড়ো ঘড়ি, সেখানে কোনোটার পাশে লেখা 'সি এস টি'; কোনোটার পাশে লেখা 'মেক্সিকো', কোনোটার পাশে লে...

মা ও ঈশ্বর ও সন্তান -- আমার এই পোস্ট সেই সব মায়েদের জন্য যারা অমানুষিক পরিশ্রাম স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে ছেলে মানুষতো করেছেন কিন্তু সন্তানএর কল্যাণ হবে বলে বার ব্রত পালন করতে গিয়ে নিজেকে অহেতুক শেষ করছেন idf we all are gods child how he can be happy on sarifice of childs health. না এই সরল সত্যি টা এটলিস্ট বাঙালি মায়েদের বোঝান যায় না

 আমার এই পোস্ট সেই সব মায়েদের জন্য যারা অমানুষিক পরিশ্রাম স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে ছেলে মানুষতো করেছেন কিন্তু সন্তানএর কল্যাণ হবে বলে বার ব্রত পালন করতে গিয়ে নিজেকে অহেতুক শেষ করছেন idf we all are gods child how he can be happy on sarifice of childs health. না  এই সরল সত্যি তা এটলিস্ট বাঙালি মায়েদের বোঝান যায় না মা ও ঈশ্বর ও সন্তান  ------------------ “ ঠাকুর! আমার ছেলেটা কে ভালো রেখো, ঠাকুর। আজ ওর অফিসে একটা পরীক্ষা আছে। ওকে দেখো তুমি। আজ সারাদিন জল খাবো না । বাড়ি ফিরে সুখবর দিলে তবে তোমার সামনে রাখা বাতাসা জল খাবো। মনে থাকে যেন? বুঝলে কিছু? শুনলে কিছু? “ ----” আর পারিনা বাপু। মানুষের মত আমার তো মৃত্যুতে নিষ্কৃতি নেই!” ফুলে ভরা ছোট্ট সিংহাসন দুলে উঠে কষ্টে সৃষ্টে কে যেন হামাগুড়ি দিয়ে বার হবার চেষ্টা করছে দেখে আঁতকে উঠে রমলা বললো ‘ কে কি ওখানে? সিংহাসনে ফুলের মধ্যে?” ---” ধুত্তেরি নিকুচি করেছে তোমার ফুল! এত ফুল দিয়ে ঢেকে আমার শ্বাস বন্ধ হচ্ছে খবর রাখো তার? এক দুটো ফুল দিলে কি কম ভক্তি দেখানো হয়? ফুল বাঁচে, গাছ বাঁচে, পয়সা বাঁচে। নাও, সরাও দিকিনি বেলপাতা গুলো,...
এক চিলতে খুশি একটু আনন্দ একটু সহমর্মিতা গল্পের চোখে জীবনটা নতুন করে দেখা মন খারাপের মরশুমে একটু আশা সব কালো রাতের শেষ আছে আবার আসবে সুখের আলো আপনি করুন না পোস্ট ; ফেইসবুক তো হোকনা কিছু আবোলতাবোল হোক না কাঁচা হাতের লেখা চেষ্টাটা যে আসল বাকি সব নকল মন থেকে যে হাসতে ভুলে গেছি হয়তো সংসারের চাপে নিজের খুশি গুলো কে খুজতে ভুলে গেছি হয়তো বলে যাবেন নিজের কথা অনামিকা হয়ে

বাবা তোমাকে - a heart touching story of son and DAD

রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিতে যাবো হঠাৎ দেখলাম রবিন চোখ মুছছে।ভাবলাম গামছা দিয়ে হয়তো ঘাম মুছছে।কিন্তু খুচরো পয়সা ফেরত নেওয়ার সময় দেখলাম রবিন চোখের জল আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।রবিন আমাদের এলাকায় সবার খুব পরিচিত রিক্সাওয়ালা।আর পাঁচ জন রিক্সাওয়ালার মতো সে নেশা করে না।সারা দিনের উপার্জন সে রাতে এসে স্ত্রীর হাতে তুলে দেয়। গৃহিণীর সুনিপুণ পরিচালনায় তার সংসার দিব্যি চলে যায়। তাদের যাবতীয় স্বপ্ন একমাত্র সন্তান ঋষিকে নিয়ে। পড়াশোনায় দক্ষ ঋষি স্কুলের শিক্ষকদের কাছে খুবই প্রিয়। রবিন ও একসময় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল ।কিন্তু ভাগ্য তাকে ধাক্কা দিতে দিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাটুলির রিক্সা স্ট্যান্ডে এনে ফেলেছে।এখন সে সারাদিন রিক্সা চালায় আর সুযোগ পেলেই মনের টানে কাগজ কলম নিয়ে বসে যায় ছড়া/কবিতা লিখতে। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম-"কি ব্যাপার রবিন? কাঁদছো কেন?বাড়িতে কোনো বিপদ?" -"ও কিছু না দাদা।" বলে জোর করে হেসে ভিতরের আবেগটাকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো।কিন্তু ওর সমস্যা টা না শোনা পর্যন্ত শান্তি পাবো না।তাই বললাম-"চলো রবিন বাড়ি থেকে এক গ্লাস...

তুমি এলে তাই পর্ব 10 নতুন আলো

পবন এখুনি ঘুরে আসছি বলে বেরিয়ে গেছে…কোন মন্দিরে নাকি মানত করে রেখেছিল পূজো দেবে বলে…দাদু, দিদান আর শুক্লাদি মৌকে কাছ ছাড়া করতে চাইছিল না…যেন আজই ওর সাথে সব কথা বলা শেষ করতে হবে, নিজেদের যে শরীর ভালো নেই যেন ভুলেই গেছে। অরিত্র ওর রুমে গিয়ে এক এক করে সবাইকে ওর কথা বলা শুরু করার ব্যাপারটা জানাচ্ছিল। বোস দাদু শুনেই বলল…মনে হচ্ছে যা ভেবেছিলাম…তাই…বিরাট একটা শক পেয়ে যেমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তেমনি আবার একটা শক পেয়ে ঠিক হয়ে গেছে। যাক গে…আরো একটা চিন্তা থেকেই গেল…স্মৃতি ফিরবে কিনা আর যদি ফেরে কতটা বা কিভাবে ফিরবে…ভালো বা খারাপ দুটোই হতে পারে…এর মাঝে আমি অনেকের সাথে আলোচনা করেছি কিন্তু কেউ সেভাবে আশার আলো দেখাতে পারেনি…আজকাল অনেকরকম চিকিতসা হচ্ছে কিন্তু ভালো হবেই কেউ বলতে পারছে না…ভালো করতে গিয়ে যদি আরো খারাপ হয়ে যায়…সেটাই চিন্তা। কেউ কেউ বলছে ঠিক কি কি ঘটেছিল জানতে পারলে একটা চেষ্টা করে দেখা যেত। অরিত্র একটু চুপ করে থেকে বলল…কি জানি কি হবে…দেখা যাক। এখন যা হয়েছে…সেটাই বা কম কি… বিশ্বাস কাকুকে ফোনে পাওয়া গেল না…নেটওয়ার্কের বাইরে আছে…পরে আবার চেষ্টা করবে ভেবে রুপসাকে ফোন করল…একসাথে পুব...

তুমি এলে তাই পর্ব ৯ আলোর রেখা -প্রথম কথা

রাতে খেয়ে রুমে ঢুকতেই ফোনটা বেজে উঠল, ছোড়দি ফোন করেছে দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করলে…পুবালী জিজ্ঞেস করল…কি রে ভাই…রুপসার ফোন ধরছিস না কেন? তিন বার ফোন করেছে তোকে। আমি ছিলাম না রে, খেতে গিয়েছিলাম…এখুনি করছি…এখোনো রেগে আছে নাকি রে? না রে…ও রাগ করে থাকার মেয়ে নাকি… ছোড়দি…তুই একটু ধর…রুপসাকে লাইনে নিচ্ছি…খুব এম্ব্যারাসাড হয়েছি আজ…বুঝলি। কি হোলো আবার… একটু ধর…রুপসাকে ধরি…তারপর বলছি… দু বোনকে লাইনে নিয়ে পবনের ভাবীজী বলা আর পূজো দেবার ব্যাপারটা বলতেই রুপসা প্রায় লাফিয়ে উঠল…দেখলি তো…আমি বললেই তোর যত প্রবলেম…আর সবাই কি বলছে এখন? তোদের ওই পবন দু দিনেই বুঝে গেছে…আর তুই কিছু বুঝতে পারছিস না…বল…এবার… হুম…বুঝলাম…তুই এবার বল…আমার উপরে আর রেগে নেই তো? ধুস…তোর উপর রেগে থাকলে এতবার ফোন করি নাকি? একটা মাত্র দাদাভাই…রাগ করে থেকে কি করবো রে? কি রে ছোড়দি…তাই তো? পুবালী হেসে ফেলে বলল…তাছাড়া …আবার কি… পরের দিন মহাকাল মন্দীরে সবাই মিলে গিয়ে পূজো দেওয়ার পর আর হোটেলে না ফিরে দিনের বাকিটা এদিক ওদিক ঘুরে আসতে আসতে প্রায় সন্ধে হয়ে গেল। আগের দিন শুক্লাদি আর মৌ ভুতের গল্প শুনে খুব ভয় পেয়েছিল বলে আজ ওরা চারজনে বস...

তুমি এলে তাই পর্ব ৮ শর্বরীর প্রতীক্ষা

বুকের ভেতরে একটা ঠান্ডাস্রোত বয়ে গেল…তবুও নিজেকে ঠিক রাখার কিছুটা চেষ্টা করে বলল…ঠিক আছে কাকু…এমনিতে ও বাইরে একা কোথাও যায় না…গেলেও আমরা কেউ না কেউ সাথে থাকি। ঠিক আছে…এখন রাখ…বেশি চিন্তা করিস না…আমি বরং দার্জিলিং থানায় একবার ফোন করে দিচ্ছি…তোদের উপর যেন একটু নজর রাখে।ওখান থেকে গ্যাংটক যাবার আগে একবার জানিয়ে দিস…ওখানেও বলে রাখবো। আর শোন…এত কিছু দাদুদেরকে বলিস না…বুড়ো বয়সে চিন্তা করতে গিয়ে আবার কিছু না হয়ে যায়। এতদিন বুকের ভেতরে যে চিন্তাটা ছিল সেটা কাকুর কাছ থেকে খবর পাবার পর অনেকটাই ঠিক হয়ে গেলেও…নতুন এক চিন্তা বুকের ভেতরটা তোলপাড় করতে শুরু করে দিয়েছে। হঠাত মনে পড়ল…ও দাদুর সাথে গাড়ীর দিকে গেছে…এখোনো ফেরেনি…তাড়াতাড়ি দিদানরা কোথায় আছে দেখে নিয়ে সিঁড়ির দিকে এগোতে গিয়ে বুকে প্রান ফিরে এল…মৌ*…দাদুর হাত ধরে উপরের দিকে আসছে…দাদু কিছু একটা বললে সারা মুখে লাজুক হাসি ছড়িয়ে দাদুর হাত ছেড়ে দিয়ে যেন বলতে চাইছে…যাও…তোমার সাথে আড়ি… দাদু দাঁড়িয়ে পড়ে আবার কিছু একটা বললে…ঠোঁট চেপে হাসতে হাসতে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে ঘাড় নেড়ে যেন বলতে চাইছে…হ্যাঁ… এত সুন্দর একটা নিস্পাপ মেয়ে...

তুমি এলে তাই পর্ব ৭ অপারেশন মৌ

প্রতি বছরই বেশ কয়েকদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যাওয়া ওদের অনেক বছর ধরে চলছে, চাকরী পাবার আগে দাদুই নিয়ে যেত আর এখন যেহেতু ও নিজে খরচ করতে পারে তাই দাদুকে খরচ করতে দেয় না।এবারেও যাবার সব কিছু ঠিক করা আছে। লক্ষী পুজোর পরদিন বেরিয়ে দার্জিলিং আর গ্যাংটক হয়ে ফিরবে, আগেও দুবার গেছে কিন্তু সব জায়গা গুলো এখোনো দেখা হয়ে ওঠেনি। দিদানের প্লেন চড়তে খুব ভয় থাকায় ট্রেনেই যাওয়া আসা করতে হবে না হলে বাগডোগরা পর্যন্ত প্লেনে যাওয়া আসা করা যেত। মৌ এর ব্যাপারে খোঁজ নেবার জন্য নিজ়ে কোলকাতায় থাকলে ভালো হ’ত কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই, বিশ্বাস কাকুর সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখতে হবে। বেড়াতে যাবার আগে কয়েকটা দিন অফিস করতে একেবারেই ভালো লাগছিল না, আশা নিরাশার দোটানায় মনের ভেতরে ভীষন একটা অস্থিরতা…কি হবে…যদি কিছু না জানা যায়। বাড়ীতে ফিরে নিজের মনের অবস্থাও চেপে রাখতে হচ্ছে…মৌ কে কোনোভাবেই বুঝতে দেওয়া যাবে না। ডাক্তার বার বার সাবধান করে দিয়েছিল…কোনোভাবেই ও যেন কোনো মানসিক চাপের মধ্যে না থাকে…তাতে আরো খারাপ হলেও হতে পারে। এই রকম একটা অবস্থার মধ্যে বেরোনোর জন্য গোছগাছ চলছিল, বাইরে যাওয়া তো নয় যেন দক্ষযজ্ঞ, শু...

তুমি এলে তাই পর্ব ৬ দোলাচল

দেখতে দেখতে পূজো শুরু হয়ে গেল, সপ্তমী থেকে ছুটি শুরু…চারটে দিন পাড়ার পুজো, কালচারাল প্রোগ্রাম আর একদিন রাতে কোলকাতায় গিয়ে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সারা রাত প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো আর একদিন দাদু দিদান দের নিয়ে বেরোনো ছিল গত দু তিন বছরের ছক কিন্তু এবারে হয়তো কিছুটা অন্য রকম কিছু ভাবতে হবে। মৌকে নিয়ে বন্ধুদের সাথে বেরোনো যাবে না আবার বন্ধুদের সাথে না বেরোলে ওরা আবার পেছনে লাগবে। একবার ভাবলো দাদুদের কে নিয়ে যেদিন বেরোবে সেদিন তো মৌ এর ও ঘোরা হয়ে যাবে তাহলে আর আলাদা করে বেরোনোর দরকার থাকবে না কিন্তু তার পরেই মনে হল একবার ওর সাথে কথা বলে নেবার দরকার আছে না হলে মন খারাপ করতে পারে। দিদান হয়তো বুঝতে পেরেছিল ওর সমস্যাটা তাই নিজের থেকেই সপ্তমীর দিন দুপুরে খেতে বসে কথাটা তুললো… আমরা আর এ বছর বাইরে কোথাও যাবো না ভাবছি…বাড়ীর সামনেই তো পূজো হচ্ছে…এখানেই কাটিয়ে দেবো। অরিত্র খাওয়া থামিয়ে দিদানের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল…প্রতি বছরই তো এখানে পূজো হয় আর আমরা বেরোই…এবারে আবার আলাদা কিছু আছে নাকি? দিদান হেসে বলল…মৌকে নিয়ে বেরোতে হবে তো… নাকি…মেয়েটা পূজোর সময়েও বাড়ীতে বসে কাটাবে।আমাদের ...

তুমি এলে তাই পর্ব ৫ বিনি সুতোর মালা

দেখতে দেখতে রুপসার ফেরার দিন চলে এলো। আজ বিকেলের ফ্লাইটে ফিরে যাবে। সকাল থেকেই মৌ ওকে কাছ ছাড়া করতে চাইছিল না, মুখে একটুও হাসি নেই।দু চোখে ভীষন কষ্ট পাওয়ার আভাস। রুপসা ওকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করছে…আবার আসবে বলে…কিন্তু কিছুতেই ওর মুখে হাসি ফেরাতে পারছে না।মাঝে দুবার রুপসাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটিও করেছে।বেরোবার কিছুক্ষন আগে চোখে মুখে জল দিয়ে নিজেকে একটু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাতে ওর বিষন্নতা বিন্দুমাত্র কমেনি। দিদান ওর অবস্থা দেখে অরিত্রকে বলল…তুই বরং ওকে সাথে নিয়ে যা…না হলে তোরা বেরিয়ে যাবার পর আরো কান্নাকাটি করবে | এয়ারপোর্ট যাবার সময় সারাক্ষন ও রুপসা কে জড়িয়ে ধরে বসেছিল…রুপসা ওর সাথে গল্প করে যেতে যেতে এখন অনেক টা স্বাভাবিকহয়ে এসেছে। রুপসা বোর্ডিং পাস নিয়ে সিকিউরিটি চেকের আগে ফিরে এসে শেষবারের জন্য দেখা করে চলে গেল। শেষ বারে আর না কেঁদে হাসি মুখে রুপসা কে বিদায় জানিয়ে কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার পর অরিত্রর দিকে তাকা্লো…যেন বলতে চাইছে…চলো…এবার ফিরে যাই। রুপসা ফিরে যাবার পর আবার আগের মতো একটা একটা করে দিন গুলো কেটে যাচ্ছিল। আস্তে আস্তে পূজো এগিয়ে আসছ...